কক্সবাজারে ১৭ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট ◑ দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতংকে মানুষ নিত্যপন্যের দোকান গুলোতে ভীড় করতে শুরু করেছে। এ সুযোগে জেলা ব্যাপী অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম ভাবে নিত্যপন্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত ফায়দা লুটার পাশাপাশি বাজার অস্থিতিশীল করতে মেতে উঠেছে।

এমন অভিযোগে শুক্রবার জেলার টেকনাফ, রামু ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৭ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবুল মনসুরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার হ্নীলা বাসষ্টেশনে অভিযান চালিয়ে চড়ামূল্যে মাস্ক বিক্রি করায় এনাম ষ্টোর ২হাজার টাকা, সাইফুদ্দিন ষ্টোর ৫হাজার টাকা, অতিরিক্ত দামে সবজি বিক্রি করায় আড়তদার পারভেজকে ৫হাজার ও সবজি ব্যবসায়ী নুরুল বশরকে ২হাজার টাকা, চৌধুরী পাড়া ঢাকা ফুডসকে ২০হাজারসহ মোট ৩৪হাজার টাকা জরিমানা করে নগদ আদায় করা হয়। এছাড়া চাউলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি করায় চালের দোকানদারসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে সর্তক করে দেওয়া হয়।

এই ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবুল মনসুর জানান, কোন অসাধু মহলকে বাজার অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবেনা। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে।

রামুর নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, রামুতে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করায় ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৮৪ হাজার টাকা জরিমান করেছে। রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত শুক্রবার (২০ মার্চ) এসব অভিযান চালান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্রবার দুপুরে বাজারের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ি ওসমানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই অভিযোগে বাজারের জসিম স্টোরের মালিক দীপক পালকে ১২ হাজার টাকা, মেসার্স সাদ ট্রেডার্স এর স্বত্ত¡াধিকারি মো. শহীদুল্লাহকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে রামু চৌমুহনী ষ্টেশনে আরো দুটি দোকান মালিককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়া মামুন মিয়ার বাজারে অভিযান চালান। অভিযানে বাজারের হোছাইন স্টোরকে ২০ হাজার টাকা এবং কাজল এন্ড ব্রাদার্স স্টোরের স্বত্ত¡াধিকারি কাজল কান্তি দে কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সরওয়ার উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির সুযোগে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

চকরিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, করোনা ভাইরাসের অজুহাতে পণ্যের কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির কারণে চকরিয়ায় ৫ ব্যবসায়ীকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার চিরিংগা সদরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনা (ভুমি) তানভীর হোসেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্যমুল্যেও অধিক দাম নিচ্ছে বলে খবর পায়। বিশেষ করে পেয়াঁজ ও চাল ব্যবসায়ীরা।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরশহরে কাঁচা বাজারে অভিযান চালানো হয়। পরে ২ চাল ব্যবসায়ী, ১ পেয়াঁজ ব্যবসায়ী ও ২ মুদির দোকানদারকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।